সকালবেলা
খবরটা শুনেই একটা ধাক্কা খেলাম। তিন দিন আগে শুনলাম, আপনি হাসপাতালে। আমি
মনে মনে ভাবলাম, ফরীদি আপনার আরোগ্য কামনা করে একটা লেখা লিখব। আমি যখন
অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গেলাম, সবাই যখন আমার সুস্থ হয়ে ওঠার আশা ছেড়েই
দিয়েছিলেন, তখন প্রথম আলোয় আপনি একটা চিঠি লিখেছিলেন। বলেছিলেন, ‘খলিল ভাই,
আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আমার চিঠিটা পড়বেন।’ আমি আপনার কথা রেখেছিলাম।
সুস্থ হয়ে বাসায় আসার পর সেই চিঠিটা পড়ে কেঁদেছিলাম। আমি চিঠি লেখার জন্য
প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখনই এমন একটা দুঃসংবাদ পেলাম। আমাকে চিঠিটা লেখার
সুযোগ দিলেন না আপনি। বড় আফসোস থেকে গেল আমার।
ফরীদি, আমি যখন এ লেখা লিখছি, তখন আপনি এমন এক জগতে চলে গেছেন, যে জগৎ থেকে আপনাকে ফেরানোর কারও কোনো সাধ্য নেই। তবে আপনি রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী। তাঁদের জন্যই আমার এ লেখা।
আপনার কি মনে পড়ে, কক্সবাজারে সাগরিকা হোটেলের বাবুর্চিকে ডেকে এক দিন বললেন, ‘এই, আপনারা যা রান্না করেন, তা তো খলিল ভাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। আপনারা এক কাজ করেন, এই এইভাবে রান্না করেন।’
ফরীদি, আপনি যে আমাকে কতটা আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করতেন, সেটা কিন্তু এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমি ভেসপা মোটরসাইকেল নিয়ে কেন এ বয়সে চলাফেরা করি, সেটাও আপনার প্রশ্ন ছিল।
আমি বলেছিলাম, ‘পুরান ঢাকায় আমার সব আত্মীয়স্বজন থাকে। সেখানকার সরু গলি দিয়ে ভেসপা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে যাতায়াত করা কঠিন। আপনি আমার কথা শুনে শিশুর মতো হাসলেন। আপনার সেই হাসির শব্দ আমার কানে এখনো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।’
ফরীদি, আপনি কি জানতেন, আপনি কত বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন? সংশপ্তক নাটকে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম, আপনার অভিনয় কতটা তীক্ষ। আপনার কাজ মুগ্ধদৃষ্টিতে উপভোগ করতাম।
যে মানুষটি আপনি রুপালি পর্দা কাঁপিয়েছেন, আজ আপনি নিজের বাসাতেই অন্তিম শয়ানে। সংস্কৃতি অঙ্গনের কত না মানুষ এসেছে আপনাকে দেখতে। সবার চোখে পানি। ফরীদি, আমি আপনার বাসায় এসেছিলাম। কিন্তু আপনার ঘুমন্ত চেহারাটা দেখার সাহস হলো না। কারণ, আমি যে ফরীদিকে চিনি ও জানি, সেই ফরীদি এভাবে শায়িত হয়ে থাকার মানুষ নয়। ফরীদি, এভাবে আপনি চলে গেলেন?
আপনি যেখানে চলে গেলেন, দুই দিন পর আমিও সেখানে আসব। শুধু এতটুকু বলব, ‘দুই হাত তুলে ওপরওয়ালার কাছে দোয়া করি, আপনার মতো ভালো মানুষকে আল্লাহ যেন জান্নাতে জায়গা করে দেন।’
ফরীদি, আমি যখন এ লেখা লিখছি, তখন আপনি এমন এক জগতে চলে গেছেন, যে জগৎ থেকে আপনাকে ফেরানোর কারও কোনো সাধ্য নেই। তবে আপনি রেখে গেছেন অসংখ্য গুণগ্রাহী। তাঁদের জন্যই আমার এ লেখা।
আপনার কি মনে পড়ে, কক্সবাজারে সাগরিকা হোটেলের বাবুর্চিকে ডেকে এক দিন বললেন, ‘এই, আপনারা যা রান্না করেন, তা তো খলিল ভাইয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। আপনারা এক কাজ করেন, এই এইভাবে রান্না করেন।’
ফরীদি, আপনি যে আমাকে কতটা আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করতেন, সেটা কিন্তু এখনো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমি ভেসপা মোটরসাইকেল নিয়ে কেন এ বয়সে চলাফেরা করি, সেটাও আপনার প্রশ্ন ছিল।
আমি বলেছিলাম, ‘পুরান ঢাকায় আমার সব আত্মীয়স্বজন থাকে। সেখানকার সরু গলি দিয়ে ভেসপা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে যাতায়াত করা কঠিন। আপনি আমার কথা শুনে শিশুর মতো হাসলেন। আপনার সেই হাসির শব্দ আমার কানে এখনো প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।’
ফরীদি, আপনি কি জানতেন, আপনি কত বড় মাপের অভিনেতা ছিলেন? সংশপ্তক নাটকে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম, আপনার অভিনয় কতটা তীক্ষ। আপনার কাজ মুগ্ধদৃষ্টিতে উপভোগ করতাম।
যে মানুষটি আপনি রুপালি পর্দা কাঁপিয়েছেন, আজ আপনি নিজের বাসাতেই অন্তিম শয়ানে। সংস্কৃতি অঙ্গনের কত না মানুষ এসেছে আপনাকে দেখতে। সবার চোখে পানি। ফরীদি, আমি আপনার বাসায় এসেছিলাম। কিন্তু আপনার ঘুমন্ত চেহারাটা দেখার সাহস হলো না। কারণ, আমি যে ফরীদিকে চিনি ও জানি, সেই ফরীদি এভাবে শায়িত হয়ে থাকার মানুষ নয়। ফরীদি, এভাবে আপনি চলে গেলেন?
আপনি যেখানে চলে গেলেন, দুই দিন পর আমিও সেখানে আসব। শুধু এতটুকু বলব, ‘দুই হাত তুলে ওপরওয়ালার কাছে দোয়া করি, আপনার মতো ভালো মানুষকে আল্লাহ যেন জান্নাতে জায়গা করে দেন।’