ছবি: নাসির আলী মামুন
সকালে
শুটিং ছিল সুবর্ণা মুস্তাফার। ধারাবাহিকের নাম গ্রন্থিকগণ কহে। যাওয়া হলো
না। একটা খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি—হুমায়ুন ফরীদি আর নেই! গাড়ি
ঘোরালেন। টঙ্গী নয়, রওনা হলেন ধানমন্ডির দিকে। হুমায়ুন ফরীদিকে দেখতে। ঠিক
তখন কথা হয় সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে, মুঠোফোনে।
কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। বারবার কণ্ঠ থেমে যায় তাঁর।
হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে প্রথম কোথায় দেখা হয়েছিল? সুবর্ণা বললেন, ‘একটা নাট্যোৎসবে। ঢাকা থিয়েটারের শকুন্তলা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। তাতে অভিনয় করেছিল হুমায়ুন ফরীদি। দেখলাম, লম্বা লম্বা চুলের একটি ছেলের প্রাণবন্ত অভিনয়। ওর কাজ দেখে সেদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম। তার সম্পর্কে জানলাম। ভালো লাগল।’
এরপর হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা আর আফজাল হোসেনের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ঢাকা থিয়েটারের এই তিন অভিনয়শিল্পী মঞ্চের পাশাপাশি বিটিভির নাটকেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন। একসময় হুমায়ুন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফা বিয়ে করলেন।
‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়াও আমরা আসলে একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলাম।’ বললেন সুবর্ণা।
থেমে যান সুবর্ণা। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। কিছুক্ষণ নীরবতা। আবারও প্রশ্ন, এই বন্ধুর সঙ্গে আপনার শেষ কবে কথা হয়েছিল? ‘২০০৮ সালে। আমার মা সেদিন মারা যান। ফরীদির সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। আসলে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর সেভাবে আর কথা হয়নি। তবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে তার খবর পেতাম।’ বললেন তিনি।
বিয়ের আগে ও পরে সুবর্ণা মুস্তাফা ও হুমায়ুন ফরীদি নিজেদের কাজের ব্যাপারে একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। একবার একটা ব্যাপারে নিজেরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না। ফরীদি তখন টিভি অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। ওদিকে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের নির্মাতারা ফরীদিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। ফরীদির ইচ্ছা আছে, কিন্তু সুবর্ণার আপত্তি। সুবর্ণার ইচ্ছা, ফরীদি টিভি আর মঞ্চনাটক নিয়েই থাকুক। ফরীদির কথা, ‘দেখি না একটা সিনেমায় কাজ করে। আমি তো আমার মতো করে কাজ করব। নতুন কিছু হলেও হতে পারে।’
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা দুজন শরণাপন্ন হলেন পারিবারিক বন্ধু আফজাল হোসেনের। সুবর্ণা বললেন, ‘আফজাল বাসায় এল। ও আমাদের কথা শুনল। সব শুনে ফরীদির যুক্তি মেনে নেয় আফজাল। ফরীদি নিজের কথা রেখেছিল। চলচ্চিত্রে ফরীদি যেন নতুন কিছু একটা করল। আমি আগে চলচ্চিত্রে কাজ করতাম, মাঝে আর করিনি। ফরীদির পর আমিও আবার চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করলাম। ফরীদির চলচ্চিত্রে আসার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল না।’
আজ সবই স্মৃতি। যে হুমায়ুন ফরীদির হাসির শব্দ শুনলে টিভিতে কিংবা রুপালি পর্দায় দর্শকদের চোখ স্থির হয়ে যেত, সেই মানুষটির ছবি এখন শুধুই ফ্রেমে বন্দী হয়ে দেয়ালে ঝুলে থাকবে। ফরীদিকে নিয়ে সুবর্ণার মূল্যায়ন, ‘ফরীদির মৃত্যু মঞ্চ, টিভি আর চলচ্চিত্রে একটা বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। এমন অভিনেতা আমরা কোথায় পাব!’
কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। বারবার কণ্ঠ থেমে যায় তাঁর।
হুমায়ুন ফরীদির সঙ্গে প্রথম কোথায় দেখা হয়েছিল? সুবর্ণা বললেন, ‘একটা নাট্যোৎসবে। ঢাকা থিয়েটারের শকুন্তলা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছিল। তাতে অভিনয় করেছিল হুমায়ুন ফরীদি। দেখলাম, লম্বা লম্বা চুলের একটি ছেলের প্রাণবন্ত অভিনয়। ওর কাজ দেখে সেদিন মুগ্ধ হয়েছিলাম। তার সম্পর্কে জানলাম। ভালো লাগল।’
এরপর হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা আর আফজাল হোসেনের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ঢাকা থিয়েটারের এই তিন অভিনয়শিল্পী মঞ্চের পাশাপাশি বিটিভির নাটকেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন। একসময় হুমায়ুন ফরীদি ও সুবর্ণা মুস্তাফা বিয়ে করলেন।
‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়াও আমরা আসলে একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলাম।’ বললেন সুবর্ণা।
থেমে যান সুবর্ণা। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিল। কিছুক্ষণ নীরবতা। আবারও প্রশ্ন, এই বন্ধুর সঙ্গে আপনার শেষ কবে কথা হয়েছিল? ‘২০০৮ সালে। আমার মা সেদিন মারা যান। ফরীদির সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। আসলে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর সেভাবে আর কথা হয়নি। তবে বিভিন্নজনের কাছ থেকে তার খবর পেতাম।’ বললেন তিনি।
বিয়ের আগে ও পরে সুবর্ণা মুস্তাফা ও হুমায়ুন ফরীদি নিজেদের কাজের ব্যাপারে একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। একবার একটা ব্যাপারে নিজেরা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না। ফরীদি তখন টিভি অভিনেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। ওদিকে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের নির্মাতারা ফরীদিকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। ফরীদির ইচ্ছা আছে, কিন্তু সুবর্ণার আপত্তি। সুবর্ণার ইচ্ছা, ফরীদি টিভি আর মঞ্চনাটক নিয়েই থাকুক। ফরীদির কথা, ‘দেখি না একটা সিনেমায় কাজ করে। আমি তো আমার মতো করে কাজ করব। নতুন কিছু হলেও হতে পারে।’
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা দুজন শরণাপন্ন হলেন পারিবারিক বন্ধু আফজাল হোসেনের। সুবর্ণা বললেন, ‘আফজাল বাসায় এল। ও আমাদের কথা শুনল। সব শুনে ফরীদির যুক্তি মেনে নেয় আফজাল। ফরীদি নিজের কথা রেখেছিল। চলচ্চিত্রে ফরীদি যেন নতুন কিছু একটা করল। আমি আগে চলচ্চিত্রে কাজ করতাম, মাঝে আর করিনি। ফরীদির পর আমিও আবার চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করলাম। ফরীদির চলচ্চিত্রে আসার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল না।’
আজ সবই স্মৃতি। যে হুমায়ুন ফরীদির হাসির শব্দ শুনলে টিভিতে কিংবা রুপালি পর্দায় দর্শকদের চোখ স্থির হয়ে যেত, সেই মানুষটির ছবি এখন শুধুই ফ্রেমে বন্দী হয়ে দেয়ালে ঝুলে থাকবে। ফরীদিকে নিয়ে সুবর্ণার মূল্যায়ন, ‘ফরীদির মৃত্যু মঞ্চ, টিভি আর চলচ্চিত্রে একটা বড় শূন্যতা তৈরি করেছে। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। এমন অভিনেতা আমরা কোথায় পাব!’