IF LIKE OUR NEWS.PLS LIKE US OUR SIDEBAR FACEBOOK PAGE.

2/18/12

সিলেট রয়্যালসের স্বপ্নভঙ্গ

শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ২ উইকেট। হাত থেকে ছিটকে পড়া ম্যাচ এক ঝটকায় জিতিয়ে দিলেন দলকে। ম্যাচ শেষে শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ২ উইকেট। হাত থেকে ছিটকে পড়া ম্যাচ এক ঝটকায় জিতিয়ে দিলেন দলকে। ম্যাচ শেষে তাই জয়েরই হুংকার সাকিব আল হাসানের
শামসুল হক
চট্টগ্রামে বিপিএলই হচ্ছে, নাকি বিশ্বকাপ! ক্রিকেটকে চট্টগ্রামের দর্শক দুহাত ভরে সব সময়ই দিয়েছে। বিপিএলও ঢাকার ফাঁকা গ্যালারির উল্টোটা দেখল বন্দরনগরে এসে। তা চট্টগ্রামের প্রথম ম্যাচে নিরাশ হয়নি দর্শকও। সিলেট রয়্যালসের বিপক্ষে খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের ২ রানে জেতা ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত উপহার দিল রোমাঞ্চ।
সিলেট রয়্যালসের কালকের আগ পর্যন্ত যা পারফরম্যান্স, ৬ উইকেটে ১৭১ রান জেতার মতোই স্কোর ছিল খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের জন্য। কিন্তু ওপেনার কামরান আকমলের ৪১ বলে ৮২ রানের পর স্কট স্টাইরিসের ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৮ উত্তেজনা নিয়ে যায় শেষ ওভারে। শেষ ২ ওভারে জেতার জন্য ২৮ রান দরকার ছিল সিলেটের। হাতে ৪ উইকেট রেখে জয়টা অসম্ভব ছিল না। সেটা আরও সম্ভাবনা আঁকে আন্দ্রে রাসেলের করা ১৯তম ওভারে। স্ট্রাইকে নাঈম, প্রথম বলেই ছক্কা। পরের বলে ১ রান নিয়ে প্রান্তবদল। তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা স্টাইরিসের। চতুর্থ ও শেষ বলে দুই দুই করে আরও চার রানে ১৯তম ওভারেই ওঠে ১৭।
আগের ওভারের এই তাণ্ডবের পর শেষ ওভারে ১১ রান সম্ভবই মনে হচ্ছিল। কিন্তু শেষ ওভারটা যে করলেন সাকিব আল হাসান! উইকেটের পেছনে সগীর হোসেনও দুর্দান্ত দেখালেন। প্রথম দুই বলেই দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্টাম্পড করলেন নাঈম ও ব্র্যাড হগকে। তবে মাঝখানে তালহা জুবায়েরের ১ রানের পর পঞ্চম বলে স্টাইরিস লংঅন দিয়ে ছক্কা মেরে বসলে শেষ বলটাই হয়ে যায় ফলনির্ধারক। এক বলে ৪ রান দরকার সিলেটের, যুদ্ধটা তখন সাকিব-স্টাইরিসের। মিডল আর লেগ স্টাম্পের মাঝামাঝি আসা বলটাতে ১ রানের বেশি নিতে পারলেন না স্টাইরিস। ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তি হলো খুলনা রয়েল বেঙ্গলসের গর্জনে। পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় জয় পেল খুলনা। সিলেট প্রথম রাউন্ড শেষ করল সব ম্যাচেই হেরে।
অথচ ২৬ রানে খুলনার ৩ উইকেট তুলে শুরুতে আশার আলোই দেখেছিল দলটা। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে স্মিথ-সাকিবের ৪৯ রানের জুটি ম্যাচটা আস্তে আস্তে নিয়ে যায় খুলনার দিকে। এরপর সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটি গড়ে বোলারদের লড়াই করার পুঁজি দেন নাজমুল হোসেন (মিলন) ও আন্দ্রে রাসেল। ১৪ বলে অপরাজিত ২২ রানে দুই ছক্কা নাজমুলের। রাসেলের অপরাজিত ৩৫ রান এল ১৪ বলে দুই ছক্কা আর তিন বাউন্ডারিতে। পরে বল হাতে ২ উইকেট টুর্নামেন্টে তাঁর হাতে দ্বিতীয়বারের মতো তুলে দিয়েছে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
খেলা শেষে রাসেলের প্রশংসা অধিনায়কের সাকিবের কণ্ঠে, ‘রাসেল প্রমাণ করছে কেন সে নিলামে হটকেক ছিল।’ কিন্তু সাকিবের প্রশংসা করবে কে? শেষ ওভারের উত্তেজনাকে জয় করে তিনিই তো জেতালেন ম্যাচ! সাকিব বললেন আত্মবিশ্বাসই এই সাফল্যের ভিত্তি, ‘আমি অধিনায়ক, তাই নিজেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও কখনো এমন চ্যালেঞ্জ নিইনি। ছক্কা খাওয়ার পর নার্ভাস লাগছিল। শেষ ওভারে ১১ রান খুব বেশি না। তবে বিশ্বাস ছিল সফল হব।’ সাকিবকে ‘শংসাপত্র’ দিয়ে গেলেন কামরান আকমলও, ‘অসাধারণ বল করেছে সাকিব। সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শেষ ওভারটা করেছে ও।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস: ২০ ওভারে ১৭১/৬ (স্মিথ ৫৫, রাসেল ৩৫*, নাসির ২৩, নাজমুল মিলন ২২*, সাকিব ১৪; সোহেল তানভির ২/২৫, নাবিল সামাদ ২/৩২, ট্রেগো ২/৫০)। সিলেট রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৬৯/৮ (কামরান ৮২, স্টাইরিস ৪৮*; রাজ্জাক ২/২৪, সাকিব ২/৩০, রাসেল ২/৩৬)।
ফল: খুলনা রয়েল বেঙ্গলস ২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে রাসেল।

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More