ত্রিভুজ
প্রেমের যাবতীয় ‘সাসপেন্সে’র সমাপ্তি হয় একজনের আত্মোত্সর্গের মধ্য দিয়ে।
সিবি সিরিজেও এক দলকে বাদ পড়তে হবে ফাইনালের আগে। ১২ ম্যাচের টুর্নামেন্টের
ঠিক মাঝপথে এসে ত্রিভুজ প্রেমের মতোই জমে উঠেছে সিবি সিরিজ। ১০ পয়েন্ট
নিয়ে শীর্ষে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৯। গত ম্যাচটা বোনাস পয়েন্টসহ জেতায়
শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট হয়ে গেছে ৭। তিন দলেরই সামনে এখনো ফাইনালের দরজা হাট
করে খোলা।
এই সমীকরণে দাঁড়িয়েই আজ ব্রিসবেনে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত। মাইকেল ক্লার্ককে এই ম্যাচেও পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। আবারও তাই রিকি পন্টিংই অধিনায়ক। গত ম্যাচে নেতৃত্বের নতুন ইনিংসে দলকে জেতাতে পারেননি। আজ পারবেন?
পন্টিংয়ের জন্য এই সিরিজটা অনেক দিক দিয়েই চ্যালেঞ্জের। পরবর্তী বিশ্বকাপ মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চয়ই এখন দল পুনর্গঠনের কথা ভাববে। এরই মধ্যে দলের আশপাশে অনেক নতুন মুখের আবির্ভাব। পন্টিং-হাসিদের জন্য জায়গা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। হাসি সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে সামলাচ্ছেন। কিন্তু সিবি সিরিজে চার ম্যাচে পন্টিংয়ের চারটি ইনিংস এ রকম: ২, ১, ৬, ২!
গত ডিসেম্বরে ৩৮-এ পা রাখা পন্টিংকে ভীষণ ক্লান্তও দেখাচ্ছে। মিকি আর্থার স্বীকার করেছেন, পন্টিংকে বিশ্রাম দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে আরেকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে হাতছাড়া করতে রাজি নন কোচ, ‘সত্যি বলতে কি, রিকিকে খানিকটা ক্লান্তই দেখাচ্ছে। আরও কিছু টেস্ট খেলোয়াড়সহ সে-ও পুরো গ্রীষ্মেই খেলার মধ্যে আছে। কিন্তু এটাই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরই মধ্যে থেকে ক্রিকেটারদের পারফর্ম করে অবদান রাখতে হবে।’
পন্টিংকে টেস্ট দলে রাখা নিয়েও চাপের মধ্যে ছিলেন আর্থার আর নির্বাচকেরা। ১০৮.৮০ গড়ে ৫৪৪ রান করে সেই চ্যালেঞ্জটা জিতিয়ে দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক। আর্থারের দৃঢ় বিশ্বাস, এবারও পন্টিং আস্থার প্রতিদান দেবেন, ‘পারফরম্যান্সই একজন ক্রিকেটারের দলে থাকার নিশ্চয়তা। অস্ট্রেলিয়া দলে থাকতে চাইলে পারফর্ম করতেই হবে। রিকি এমন একজন, যাকে আপনি দলে রাখতে চাইবেন সব সময়। কারণ সে অনুপ্রেরণাদায়ী, এখনো সে আমাদের সবচেয়ে ফিট, অনুশীলনে সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড়। দলের বাকি সবার জন্য সে উদাহরণ। রিকির মতো চ্যাম্পিয়নকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে পারেন না।’
দলে তাঁর জায়গার যথার্থতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নটা গেছে পন্টিংয়ের কানেও। একটু যেন ক্ষুব্ধ হয়েই উত্তর দিয়েছেন টেস্ট-ওয়ানডে দুই জায়গাতেই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের মালিক, ‘আমি এখনো দলে থাকার যোগ্য মনে করি। তবে প্রশ্নটা নির্বাচকদেরই করলে ভালো হয়, তারা আসলে কী ভাবছে। আমার গত চারটি ম্যাচ নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করেনি। কিন্তু নির্বাচকদের মাথায় নিশ্চয়ই পুরো ব্যাপারটি আছে, না হলে আমাকে সিরিজের শুরুতে নেওয়া হতো না। দলে এখনো বেশ কজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন। দলে যে তরুণ ক্রিকেটাররা আছে, নির্বাচকেরা চান তাদের আশেপাশে অভিজ্ঞরাও থাকুক।’
তবে শুধু অভিজ্ঞতা আর অতীত রেকর্ড দিয়ে যে বারবার দলে সুযোগ পাবেন না, পন্টিং তা-ও জানেন, ‘শুধু সুনামের কারণে কাউকে দলে নেওয়া হয় না। আপনাকে রান করতে হয়। এটাই আসল কথা। সেটা সবার মতো আমিও ভালো করেই জানি।’ এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
এই সমীকরণে দাঁড়িয়েই আজ ব্রিসবেনে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত। মাইকেল ক্লার্ককে এই ম্যাচেও পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। আবারও তাই রিকি পন্টিংই অধিনায়ক। গত ম্যাচে নেতৃত্বের নতুন ইনিংসে দলকে জেতাতে পারেননি। আজ পারবেন?
পন্টিংয়ের জন্য এই সিরিজটা অনেক দিক দিয়েই চ্যালেঞ্জের। পরবর্তী বিশ্বকাপ মাথায় রেখে অস্ট্রেলিয়া নিশ্চয়ই এখন দল পুনর্গঠনের কথা ভাববে। এরই মধ্যে দলের আশপাশে অনেক নতুন মুখের আবির্ভাব। পন্টিং-হাসিদের জন্য জায়গা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। হাসি সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে সামলাচ্ছেন। কিন্তু সিবি সিরিজে চার ম্যাচে পন্টিংয়ের চারটি ইনিংস এ রকম: ২, ১, ৬, ২!
গত ডিসেম্বরে ৩৮-এ পা রাখা পন্টিংকে ভীষণ ক্লান্তও দেখাচ্ছে। মিকি আর্থার স্বীকার করেছেন, পন্টিংকে বিশ্রাম দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ক্লার্কের অনুপস্থিতিতে আরেকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে হাতছাড়া করতে রাজি নন কোচ, ‘সত্যি বলতে কি, রিকিকে খানিকটা ক্লান্তই দেখাচ্ছে। আরও কিছু টেস্ট খেলোয়াড়সহ সে-ও পুরো গ্রীষ্মেই খেলার মধ্যে আছে। কিন্তু এটাই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এরই মধ্যে থেকে ক্রিকেটারদের পারফর্ম করে অবদান রাখতে হবে।’
পন্টিংকে টেস্ট দলে রাখা নিয়েও চাপের মধ্যে ছিলেন আর্থার আর নির্বাচকেরা। ১০৮.৮০ গড়ে ৫৪৪ রান করে সেই চ্যালেঞ্জটা জিতিয়ে দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক। আর্থারের দৃঢ় বিশ্বাস, এবারও পন্টিং আস্থার প্রতিদান দেবেন, ‘পারফরম্যান্সই একজন ক্রিকেটারের দলে থাকার নিশ্চয়তা। অস্ট্রেলিয়া দলে থাকতে চাইলে পারফর্ম করতেই হবে। রিকি এমন একজন, যাকে আপনি দলে রাখতে চাইবেন সব সময়। কারণ সে অনুপ্রেরণাদায়ী, এখনো সে আমাদের সবচেয়ে ফিট, অনুশীলনে সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড়। দলের বাকি সবার জন্য সে উদাহরণ। রিকির মতো চ্যাম্পিয়নকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতে পারেন না।’
দলে তাঁর জায়গার যথার্থতা নিয়ে ওঠা প্রশ্নটা গেছে পন্টিংয়ের কানেও। একটু যেন ক্ষুব্ধ হয়েই উত্তর দিয়েছেন টেস্ট-ওয়ানডে দুই জায়গাতেই অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ রানের মালিক, ‘আমি এখনো দলে থাকার যোগ্য মনে করি। তবে প্রশ্নটা নির্বাচকদেরই করলে ভালো হয়, তারা আসলে কী ভাবছে। আমার গত চারটি ম্যাচ নির্বাচকদের সন্তুষ্ট করেনি। কিন্তু নির্বাচকদের মাথায় নিশ্চয়ই পুরো ব্যাপারটি আছে, না হলে আমাকে সিরিজের শুরুতে নেওয়া হতো না। দলে এখনো বেশ কজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন। দলে যে তরুণ ক্রিকেটাররা আছে, নির্বাচকেরা চান তাদের আশেপাশে অভিজ্ঞরাও থাকুক।’
তবে শুধু অভিজ্ঞতা আর অতীত রেকর্ড দিয়ে যে বারবার দলে সুযোগ পাবেন না, পন্টিং তা-ও জানেন, ‘শুধু সুনামের কারণে কাউকে দলে নেওয়া হয় না। আপনাকে রান করতে হয়। এটাই আসল কথা। সেটা সবার মতো আমিও ভালো করেই জানি।’ এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।